একসময় বলিউডের আলোচিত জুটি ছিলেন সালমান খান ও ঐশ্বরিয়া রাই। তাদের প্রেমের গুঞ্জন যেমন ছিল তুঙ্গে, তেমনি বিচ্ছেদের খবরও ভক্তদের হতাশ করেছিল। এরপর ঐশ্বরিয়ার জীবনে বিবেক ওবেরয়ের উপস্থিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়।
ভারতীয় সাংবাদিক হানিফ জাভেরির দাবি, ঐশ্বরিয়া ও সালমান সত্যিই বিয়ে করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের সম্পর্ক নিয়ে ঐশ্বরিয়ার পরিবার সন্তুষ্ট ছিল না।
এক পডকাস্টে হানিফ জানান, সালমান ও ঐশ্বরিয়া সম্পর্কে ছিলেন সিরিয়াস, তবে সালমানের আগের প্রেমের সম্পর্ক ও তার ব্যক্তিগত জীবন ঐশ্বরিয়ার পরিবারকে দ্বিধায় ফেলেছিল। এছাড়া সালমান দ্রুত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে চাইলেও ঐশ্বরিয়া তখনই সংসার বাঁধতে প্রস্তুত ছিলেন না। এই মতভেদের কারণে সম্পর্কের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন সালমান ঐশ্বরিয়ার বাড়িতে গিয়ে হাঙ্গামা করেন। প্রতিবেশীদের বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং এই ঘটনায় মানসিকভাবে আহত হয়ে ঐশ্বরিয়া সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে, বিচ্ছেদের পর ঐশ্বরিয়া ও বিবেকের ঘনিষ্ঠতা নিয়ে গুঞ্জন ছড়ায়। তবে হানিফ জাভেরির মতে, এই সম্পর্কের ভিত্তি ছিল না। ঐশ্বরিয়া তখন আহত ছিলেন, আর বিবেক ওবেরয় তাকে সাহায্য করছিলেন। হাসপাতাল থেকে আসা-যাওয়া, হুইলচেয়ার ঠেলাসহ নানা সহযোগিতা করতে গিয়েই তিনি বিতর্কের মুখে পড়েন।
সালমান-ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদ বলিউডের অন্যতম আলোচিত অধ্যায়। যদিও আজ তারা দুজনেই আলাদা পথ বেছে নিয়েছেন, তবে সেই সম্পর্ক নিয়ে চর্চা এখনও থামেনি।
