‘জিম্মি’ সিরিজের গল্প কেমন?
জয়া আহসান: জিম্মি একটি সামাজিক, হাস্যরসাত্মক এবং বাস্তবধর্মী গল্প। যদিও এটি কোনো শিক্ষামূলক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যে তৈরি হয়নি, তবে কিছু ঘটনা দর্শকদের নতুনভাবে ভাবতে ও সচেতন হতে উৎসাহিত করবে।
সিরিজের মূল চরিত্র রুনা লায়লা একজন সরকারি নিম্নপদস্থ কর্মচারী, যে ১০ বছর ধরে কোনো প্রমোশন পায়নি। স্বামী-স্ত্রী মিলে সীমিত আয়ে সংসার চালাচ্ছে। একদিন হঠাৎ অফিসের স্টোররুমে একটি বাক্সভর্তি টাকা খুঁজে পায় রুনা, আর সেখান থেকেই তার জীবনে শুরু হয় নতুন টানাপোড়েন। লোভের সঙ্গে তার এই যুদ্ধই জিম্মি সিরিজের কেন্দ্রীয় বিষয়বস্তু।
রুনা লায়লা নামটা শুনলেই সংগীতশিল্পীর কথা মনে পড়ে। এই নাম নিয়ে কী বলবেন?
জয়া আহসান: হ্যাঁ, আমিও প্রথমে তাই ভেবেছিলাম! গল্পে চরিত্রের নাম খুব গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা অবহেলিত থাকে। তবে জিম্মি-র পরিচালক আশফাক নিপুণ এটি নিয়ে যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করেছেন। তিনি এমন একটি নাম বেছে নিয়েছেন যা শক্তিশালী ও পরিচিত, এবং তা গল্পের সঙ্গে মানানসই।
এটি আপনার প্রথম ওয়েব সিরিজ। কেমন অনুভূতি হচ্ছে?
জয়া আহসান: এটি আমার জন্য অনেক স্পেশাল, কারণ এটি আমার প্রথম ওয়েব সিরিজ যেখানে আমি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছি। আশফাক নিপুণের সঙ্গে এটি আমার প্রথম কাজ, আর গল্পটাও অসাধারণ। হইচই এর আগে অনেক ভালো কনটেন্ট এনেছে, দর্শকদের প্রতিক্রিয়াও ইতিবাচক ছিল। আশা করছি, জিম্মি-ও সবাই পছন্দ করবেন।
অভিনেত্রী হিসেবে ওটিটিতে আসতে এত দেরি হলো কেন?
জয়া আহসান: ভালো গল্পের অপেক্ষায় ছিলাম। চারদিকে এত এত পুরুষকেন্দ্রিক গল্প হচ্ছে, অথচ নারীদের নিয়ে তেমন কিছু করা হচ্ছে না। যেমন, এবার ঈদে দেশের সিনেমা হলে মুক্তি পাওয়া প্রায় সব সিনেমাই পুরুষপ্রধান। নারীপ্রধান গল্পও হওয়া উচিত। আশফাক নিপুণ একটি নারীকেন্দ্রিক গল্প বানাতে চেয়েছিলেন এবং আমাকে সেই চরিত্রে কাস্ট করেছেন—এটাই আমাকে আকর্ষণ করেছে।
আমি যেকোনো কাজ বাছাইয়ের সময় তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিই—গল্প, চরিত্র এবং পরিচালক। জিম্মি-তে সবকিছুই মনের মতো হয়েছে, তাই আমি রাজি হয়েছি।
আশফাক নিপুণের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
জয়া আহসান: নিপুণ পরীক্ষিত একজন নির্মাতা। প্রতিটি পরিচালকের নিজস্ব একটি স্টাইল থাকে, নিপুণেরও আছে। তিনি যে ধরনের কাজ করেন, তা নিজের সিগনেচার তৈরি করেছে। একজন শিল্পী যদি পরিচালকের নির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করেন, তাহলে কাজের ফলাফল নিঃসন্দেহে ভালো হয়।
আপনার আসন্ন সিনেমাগুলোর খবর কী?
জয়া আহসান: ভারতে ডিয়ার মা, কালান্তর, ওসিডি সিনেমাগুলো করেছি। এসবের মুক্তির বিষয়টি প্রযোজকরাই ভালো বলতে পারবেন। তবে ডিয়ার মা খুব শিগগিরই মুক্তি পাবে বলে আশা করছি। বাংলাদেশেও একাধিক সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় আছে।
সম্প্রতি ফিল্মফেয়ারে ‘ট্র্যাডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেলেন। কেমন লাগছে?
জয়া আহসান: এটা আমার জন্য অনেক বড় সম্মান। ঐতিহ্যবাহী গ্ল্যামার অ্যান্ড স্টাইল অ্যাওয়ার্ডে ‘ট্র্যাডিশনাল কুইন অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার পেয়ে আমি খুব খুশি। ফিল্মফেয়ারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এটি আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ারে একটি নতুন সংযোজন হয়ে থাকবে।
